• শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’

কাবা শরিফ ধোয়ার পবিত্র উৎসব সম্পন্ন

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

প্রতিবছর শাবান মাসের প্রথম দিন ঘটা করে পবিত্র কাবাঘর ধোয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সৌদি ও মসজিদুল হারাম কর্তৃপক্ষের নিয়ম-রীতি। এতে সৌদি বাদশাহ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন। অবশ্য শাবান মাসের প্রথমদিন ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময় কাবাঘর ধোয়ার উৎসব পরিচালনা করা হয়।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মক্কার সময় সকাল সাড়ে আটটায় পবিত্র কাবাঘর ধোয়ার আয়োজন করা হয়। ধারাবাহিকতায় এটি চলতি বছরের প্রথম বারের মতো কাবাঘর ধোয়ার কর্মসূচি। আজকের কর্মসূচিতে মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল নেতৃত্ব দেন। তিনি সৌদি বাদশাহ সালমানের প্রতিনিধিত্বও করেন।

কাবাঘর ধোয়ার জন্য কর্মসূচি। ছবি: সংগৃহীতযুবরাজ খালিদের সঙ্গে এ সময় ছিলেন পবিত্র কাবার প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস, মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, বিশেষ জরুরি বাহিনীর প্রধান এবং হজ নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার ও অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা।

আজকের কর্মসূচিতে মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীতকাবাঘর ধোয়ায় যা কিছু ব্যবহার হয়
সাধারণত কাবাঘর পরিস্কারের জমজমের পানি, খাঁটি গোলাপ জল এবং উন্নত মানের সুগন্ধি ‘উদ’ ও কস্তুরি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। প্রথমে গোলাপের সুগন্ধিযুক্ত জমজমের পানি মেঝেতে ঢালা হয়। তারপর খালি হাতে খেজুরপাতা দিয়ে পরিস্কার করা হয়। পরিস্কার করার পর মেঝে ও দেয়াল কোমল সাদা কাপড় ও উন্নত মানের টিস্যু দিয়ে মোছা হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার সময় প্রায় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা রাখা হয়।

কাবাঘর ধোয়া শেষে বিশেষ সিঁড়ি দিয়ে নামছেন তারা। ছবি: সংগৃহীতযেভাবে কাবাঘর ধোয়া হয়
এদিন সকাল সকাল কাবার দরজার সঙ্গে বিশেষ সিঁড়ি লাগানো হয়। এরপর সবাই কাবাঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে। কাবাঘরের চারপাশে তখন বিশেষ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করেন।

দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ে...। ছবি: সংগৃহীতকাবাঘর ধোয়া শেষে ভেতর থেকে বের হয়ে সবাই ধারাবাহিকভাবে হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) চুম্বন করেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। (অবশ্য অনেকে ধোয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশের আগে একবার নফল তাওয়াফ ও দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে নেন। তারা পরের তাওয়াফ ও নফল নামাজ আগে সেরে নেন।)

হাজরে আসওয়াদে চুমু দিচ্ছেন প্রিন্স খালিদ। ছবি: সংগৃহীতমূলত প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসরণে পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার মহৎ কাজটি বড় উৎসব হিসেবে পালন হয় করা হয়। ৬৩০ সালে যখন রাসুল (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা মক্কা বিজয় করেছিল, তখন তিনি মহান আল্লাহর এ পবিত্র ঘর ধৌত করেছিলেন।

কাবাঘরের তাওয়াফ করছেন তারা। ছবি: সংগৃহীতকাবা শরিফ বিশেষত শাবান-মহররম মাসে ও অন্যান্য সময়ে ধোয়া হয়। তবে কাবার গায়ে নতুন গিলাফ পরানো হয় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে।

বরগুনার আলো