• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কাস্টমস কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েই আইন করার সুপারিশ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েই সংসদে উত্থাপিত ‘কাস্টমস বিল, ২০১৯’ পাসের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

জানা যায়, ‘কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯’ এ কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত ১৫৮ (ক) ধারাটি ছিল না। রাজস্ব আদায়ে নির্বিঘ্নে আইনটি যেন প্রয়োগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে ২০০০ সালে শুধু রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এটি বলবৎ রেখে এই নতুন আইন পাসের সুপারিশ করেছে কমিটি।

রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কমিটিতে প্রেরিত ‘কাস্টমস বিল, ২০১৯’ এ পর্যালোচনা শেষে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানসহ বিলটি হুবহু সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত বৈঠকে গৃহীত হয়। এছাড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে লাভের হার যেন কোনোভাবে কমে না যায় সে বিষয়ে যথাযথ পর্যালোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।

তবে কাস্টমস আইনে কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়ায় নাখোশ প্রশাসন সার্ভিস।

প্রসঙ্গত, কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘কাস্টমস বিল-২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে তা ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) প্রস্তাবিত নতুন কাস্টমস আইনে কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া ১৮৯ ধারাটি বাতিল করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকেও দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৬৯ সালের কাস্টমস আইনে কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়নি। পরে এ আইন সংশোধন করে নতুন ধারা (১৫৮-এ) যুক্তের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়। এ ধারায় বলা আছে, কাস্টমস আইনের অধীনে সহকারী কাস্টমস কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের মতো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী যেকোনো স্থানে প্রবেশ, তল্লাশি, আটক এবং গ্রেফতার করতে পারবেন। প্রস্তাবিত নতুন কাস্টমস আইনের এ ক্ষমতা বহাল রাখা হয়েছে (১৮৯ ধারা)।

কমিটি সদস্য অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কাজী নাবিল আহমেদ, আহমেদ ফিরোজ কবির এবং রুমানা আলী বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়াও বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, অর্থ সচিব, বিভিন্ন দফতর-সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বরগুনার আলো