• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

খড়খড়ে শুকনো ত্বক বা ইকথায়োসিস

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

প্রকৃতিতে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আসছে শীত। গুটি গুটি পায়ে নিসর্গে তার আগমনী ধ্বনি শোনা যায়। শীত আসার লক্ষণ চোখে পড়ে বৃক্ষের পাতা ঝরা কিংবা শুকনো পাতার মর্মরে। শীতে পর্ণমোচী বৃক্ষের যেমন পাতা ঝরে তেমনি শীতে মানব দেহের উপরেও আঘাত আসতে শুরু করে। আক্রান্ত হতে শুরু করে ত্বক বা চামড়া। শীতে ত্বকে দেখা দেয় শুষ্কতা। চামড়া শুকিয়ে যায় এবং রসুন বা পিঁয়াজের শুষ্ক পত্রের ন্যায় কিংবা মাছের শুকনো আঁইশের ন্যায় ত্বকের আবরণ খসে পড়ে। ত্বকের শুষ্কতা ও খসে যাওয়া নিয়েই আজকের এই অবতারণা।

ইকথায়োসিস কী :

ইকথায়োসিস মূলত ত্বকের শুষ্কতার কারণে সৃষ্ট এক ধরনের রোগ যাতে শুকনো ও আলগা হওয়া চামড়া ঝরে পড়ে এবং গায়ে মাছের আঁইশের মতে দাগ দেখা দেয়। ইকথায়োসিস রোগটি মৃদু থেকে মারাত্মক হতে পারে তার শুষ্কতার ধরন ও ব্যাপ্তির উপর। এটি জন্মগত উত্তরাধিকারের কারণে হতে পারে, আবার জন্মের পরে অর্জিতও হতে পারে।

ইকথায়োসিস কাদের হয় :

সকল মানুষের ক্ষেত্রেই ইকথায়োসিস হতে পারে। তবে খাস মার্কিনী, এশিয়ান ও মঙ্গোলিয়ানদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রে আক্রমণের হার অধিক।

ইকথায়োসিসের রকমফের :

প্রায় কুড়ি রকমেরও অধিক ধরনের ইকথায়োসিস দেখা যায়। উপসর্গের মাত্রা,বাহ্যিক দর্শন, অভ্যন্তরীণ জীনগত কারণ এবং উত্তরাধিকারের ধরনের তারতম্যের উপরে এই বিভিন্নতা নির্ভর করে। ইকথায়োসিস কথাটা গ্রীক ইকথাইস কথা হতে এসেছে যা অর্থে শুষ্ক মাছের অাঁইশের মতো ত্বককে বুঝায়। সবচেয়ে সাধারণ রূপ হচ্ছে ইকথায়োসিস ভালগারিস। শতকরা পঁচানব্বই ভাগই এই ধরনের ইকথায়োসিস। তবে হারলেকুইয়ান ধরনের ইকথায়োসিসই মারাত্মক ধরনের।

* ইকথায়োসিস ভালগারিস

* X-লিঙ্কড ইকথায়োসিস

* জন্মগত কারণে ইকথায়োসিস ধরনের লালচে ত্বকীয় rash

*এপিডার্মোলাইটিক হাইপারকেরাটেলাইসিস

* হারলেকুইন টাইপ ইকথায়োসিস

* ইকথায়োসিস বুলোসা অফ সিয়েমেনস

* ইকথায়োসিস হিস্ট্রিক্স

* শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা সৃষ্টিকারী ইকথায়োসিস হিস্ট্রিঙ্

* ল্যামেলার ইকথায়োসিস টাইপ ১-৫

* প্রচ্ছন্ন ধরনের জন্মগত ইকথায়োসিস

 

ইকথায়োসিস ও জীনগত ত্রুটি :

* চাইল্ড (CHILD)  সিন্ড্রোম

* কনরাডি-হুনারমান সিন্ড্রোম

* ইকথায়োসিস ফলিকুলারিস(চুলপড়া ও আলো অসহিষ্ণুতা সিন্ড্রোম)

* কেরাটাইটিস ইকথায়োসিস(শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা সিন্ড্রোম)

* নিরপেক্ষ স্নেহ সঞ্চয়জনিত ইকথায়োসিস

* প্রাপ্ত বয়স্কদের রেফসাম ডিজিজ

* পুরুষালি অক্ষমতাজনিত ইকথায়োসিস

* জোগ্রেন-লার্সেন সিন্ড্রোম

* আলোক সংবেদী ট্রাইকোথায়োডিস্ট্রফি

* টাইপ-২ গশার ডিজিজ

উপসর্গ :
* ত্বক ফেটে যায়

* ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়

* ঊর্ধত্বক পুরু হয়

* ত্বক মাছের আঁইশের মতো হয়

* আক্রান্ত ত্বক খসখসে হয়

* জন্মগত ইকথায়োসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘাম হয় না

* কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর্নিয়া ও অক্ষি-কোটর আক্রান্ত হয়।

 

রোগ নিরূপণ :

* খালি চোখে পর্যবেক্ষণ

* রোগের ইতিহাস গ্রহণ

* পারিবারিক রোগের ইতিহাস জ্ঞাত হওয়া

* ত্বকের বায়োপসি

* রক্ত শর্করার মান নিরূপণ

 

চিকিৎসা :

* ত্বক আর্দ্র রাখতে হবে

* ইমোলিয়েন্ট অয়েল ও ক্রীম লাগাতে হবে

* ল্যাকটিক এসিড সমৃদ্ধ ক্রীম ভালো উপকার দেয়

* প্রোপিলিন গ্লাইকল প্রয়োগ

* কোন কোন ক্ষেত্রে রেটিনয়েড প্রয়োগ

ইতিহাস :
* মানব জন্মের ঊষালগ্ন থেকেই ইকথায়োসিস বিরাজমান

* বিজ্ঞানী অ্যাডওয়ার্ড ল্যাম্বার্ট সতেরোশ' একত্রিশ সালের ষোল মে নিজেকে ইকথায়েসিস হিস্ট্রিঙ্ েআক্রান্ত বলে ঘোষণা করেন। তার ছয় ছেলে এই রোগের উত্তরাধিকার বহন করে।

* ইকথায়োসিস জীবনঘাতী নয় এবং ছোঁয়াচেও নয় বলে প্রমাণিত।


প্রতিকার :

* ত্বকের নিয়মিত পরিচর্যা করা

* স্ক্র্যাবার দিয়ে ঘষে মরা ত্বক উঠিয়ে ফেলা

* ত্বকে ভ্যাসলিন ও অলিভ অয়েল প্রয়োগ করা

* ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স সেবন

* ভিটামিন-ই ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গ্রহণ।

বরগুনার আলো