• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গণপরিষদে বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতীয় সম্পত্তি’ আখ্যা সুরঞ্জিতের

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২০  

১৯৭২ সালের ১৯ অক্টোবর গণপরিষদে বক্তৃতাকালে সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় সম্পত্তি। এই সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা সহজ ব্যাপার নয়। দেওয়ানি আদালতে যেতে হবে। যদি সত্যিই সম্পত্তি বাটোয়ারা করতে চান তবে সুপ্রিমকোর্টে যেতে হবে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এই মন্তব্য ১৯৭২ সালের ১৯ অক্টোবর পরিষদে বঙ্গবন্ধু ও মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সকলেই উপভোগ করছিলেন এবং হাসছিলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধান সম্পর্কে বক্তৃতা প্রসঙ্গে একপর্যায়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেও নিম্ন-মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। তার এই মন্তব্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে এরূপ মনে করে সুবোধ কুমার মিত্র তার প্রতিবাদ জানান। তখন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অত্যন্ত শান্ত গলায় দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির গৌরব। তিনি কারও একার নন। মাননীয় সদস্য বঙ্গবন্ধুকে নিজ দলের একজন বলে যদি মনে করেন তাহলে নিজ পায়ে কুড়াল মারবেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতির। এই জাতীয় সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা সহজ ব্যাপার নয়। গণপরিষদের স্পিকারকে কী বলে সম্বোধন করা হবে স্পিকার, অধ্যক্ষ নাকি সভাপতি সেটি নিয়ে এইদিনে আবারও পরিষদে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ন্যাপ দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধান সম্পর্কে আলোচনাকালে স্পিকারকে কয়েকবার মাননীয় অধ্যক্ষ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তখন তাহেরউদ্দিন ঠাকুর বৈধতার প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, মাননীয় সদস্য অধ্যক্ষ সম্বোধন করছেন, এটা বিধিসম্মত নয়।
এর আগে ১৯৭২ সালের এইদিনে সংবিধানের ওপর বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী ও গণপরিষদের ডেপুটি নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, স্বীকৃত জনমতের ওপর ভিত্তি করেই শাসনতন্ত্র বিবেচিত হয়েছে। বিগত ২৫ বছর ধরে বাংলার আপামর জনসাধারণ যেসব অধিকার ও আদর্শের জন্য সংগ্রাম করেছেন, শাসনতন্ত্রতে তার পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়েছে। কাজেই শাসনতন্ত্রের ওপর নতুন করে জনমত যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই। কয়েকদিনের মুলতবির পরে ১৯ অক্টোবর সকালে গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হলে সংবিধানের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। মাঝে ১৫ মিনিট বিরতি নিয়ে পরিষদের অধিবেশনে প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা চলে।


ইউনেস্কোর সদস্য হলো বাংলাদেশ

১৯৭২ সালের ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ইউনেস্কোর সদস্য হয়। বাংলাদেশের সদস্য অন্তর্ভুক্তির পক্ষে ৮৪ এবং বিপক্ষে ৬টি ভোট পড়ে। ২২টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল চীন, আলবেনিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, সৌদি আরব ও আমির শাসিত আরব রাজ্য ফেডারেশন। যেসব সদস্য দেশ ভোটদানে বিরত ছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম কঙ্গো, লিবিয়া, মরক্কো, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া। ভোটাভুটির আগে ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, কিউবা, ফ্রান্স, মঙ্গোলীয় প্রতিনিধিগণ ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে যুক্তিপূর্ণ ও সারগর্ভ বক্তৃতা করেন। আর ভেটো দেওয়া পাকিস্তানের প্রতিনিধি তার বক্তব্যে বলেন, তার দেশ চায় না যে বাংলাদেশে চিরদিনের জন্য ইউনেস্কোর বাইরে থাকুক। পাকিস্তান চায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের প্রশ্নটি চূড়ান্ত ফয়সালা পর্যন্ত ইউনেস্কো বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নটি মুলতবি থাকুক।


বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাতে পাকিস্তানি সাংবাদিক
পাকিস্তানের ডন পত্রিকার সম্পাদক মজহার আলী খান ও পত্রিকার নিবন্ধকার নাজিউল্লাহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এনা পরিবেশিত এই খবরে বলা হয়, পাকিস্তানি এই দুই সাংবাদিক এর আগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তারা ১৭ অক্টোবর সাংবাদিকদের ভারত হয়ে বাংলাদেশে আগমন করেন।


নারী আসনে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের দাবি মহিলা পরিষদের
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে গণপরিষদের সামনে এক বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। গণপরিষদের মহিলা আসনে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এ বিক্ষোভের আয়োজন ছিল। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল গণপরিষদের চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জমায়েতে গৃহীত প্রস্তাব পরিষদ সদস্যদের ও বঙ্গবন্ধুকে প্রদানের জন্য জানান। বেগম সুফিয়া কামাল, মালেকা বেগম, শামসুন্নাহার বেগম, আয়েশা নবী ও ফৌজিয়া মোসলেম সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। নারী সমাজের ১৭টি দাবি সংযোজনের জন্য তারা পেশ করেন।

বরগুনার আলো