• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

চাঁদাবাজিতে বিরক্ত হয়ে বিএনপি ছেড়ে জাপায় যোগ দিলেন ২ নেতা

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯  

যোগ্যতার অবমূল্যায়ন, রাজনীতির নামে শোষণ ও চাঁদাবাজিতে বিরক্ত হয়ে বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুস সাত্তার পোদ্দার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যানের অফিসে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন বিএনপির এই নেতারা। তবে দুর্দিনে দলত্যাগ করায় স্থানীয় পর্যায়ে সমালোচনারও শিকার হচ্ছেন বিএনপির এই দুই নেতা। যদিও বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টির সাথে রাজনীতি করার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন আবদুস সাত্তার পোদ্দার ও সাখাওয়াত হোসেন।

হঠাৎ বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুস সাত্তার পোদ্দার বলেন, বিশ বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। দলের জন্য অনেক কিছু করেছি। নিয়মিত চাঁদা দিয়েছি। মিছিল-মিটিং করেছি, জেল-জুলুম সহ্য করেছি। কিন্তু যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন পাইনি। সর্বশেষ কমিটিতে সভাপতি হওয়ার যোগ্য সত্ত্বেও টাকার কাছে হেরে গেলাম। কেন্দ্রে টাকা পাঠিয়ে আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, সান্ত্বনা পুরষ্কার হিসেবে আমাকে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদ দেয়া হলো। যা আমার জন্য অপমানজনক। মেধা, শ্রম ও যোগ্যতার বিচারে আমাকে ঠকিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। এছাড়া দলের কোন কার্যক্রম নেই উপজেলায়। পুরো কুমিল্লা জেলায় বিএনপির রাজনীতিতে যেন মরচে পড়েছে। তাই আমি বিএনপি ছেড়ে দিয়েছি। এখন জাতীয় পার্টি রাজনীতি করে জনগণের সেবা করতে চাই।

এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি রাবেয়া চৌধুরী জানান, শুনেছি- আবদুস সাত্তার ও সাখাওয়াত হোসেন বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন। আসলে এই দুজন সুবিধাবাদী নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এলাকায় সিন্ডিকেট গড়ে নিত্য নতুন ফন্দিতে অর্থ উপার্জন করাই তাদের পেশা। ইদানীং তাদের বাটপারি প্রচার হওয়ায় তারা দল ছেড়ে নতুন দলে ভিড়েছেন। এরা যেকোন রাজনৈতিক দলের জন্য বিষাক্ত কীট স্বরূপ। এদের কারণে বিএনপির রাজনীতি আজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

বরগুনার আলো