চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় কিছু কৌশল

চোখের স্বাস্থ্য টিপস গুলো জানুন আপনার চোখ দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকবে |নিম্নে আলোচনা করা হলো।

চোখের জন্য খাদ্য
প্রতিদিনের খাদ্য গ্রহনের প্রভাব চোখের উপর পরে। বয়স বৃদ্ধিজনিত সমস্যা এড়াতে ভিটামিন এ ,সি,ও ই ,ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড জিং লুটেইন খাবার গ্রহন দরকার। নিচের খাবার গুলো নিয়মিত খেলে চোখ ভালো থাকে। তাই চোখের স্বাস্থ্য টিপস জানুনঃ

ডিম ,বাদাম,সিমের বীজ এবং অন্যান্য উদ্ভিজ প্রোটিন।

ছোট মাছ,স্যামন মাছ,টুনা মাছ, ও যে কোন তৈলাক্ত মাছ ইত্যাদি।

সবুজ শাক সবজি যেমন লেটুসপাতা কচুশাক,ইত্যাদি।

চোখের রেটিনা, লেন্স,ফটোরিসেপটার ও কর্ণিয়ার জন্য গাজর ,মিস্টি আলু উপকারী।

শতমূল চোখের রেটিনার জন্য উপকারী।

শসা চোখের কানেকটিভ টিস্যুকে ভালো রাখে |চোখের অপটিক নার্ভকে বেগুন সুস্থ রাখে ।

পালংশাক চোখের মাকুলা,লেন্স,রেটিনা,কানেকটিভ টিস্যু,কর্ণিয়ার পুস্টির জন্য প্রয়োজনীয়।

মালটা, কমলা বিভিন্ন ফলের রস ইত্যাদি চোখের জন্য ভালো।

চশমা ব্যবহার
ঝুঁকিপূ্র্ণ কাজের আগে অবশ্যই নিরাপত্তা চশমা ব্যবহার করতে হবে। কখনো খালি চোখে ওয়েল্ডিং করা যাবে না। এবং খালি চোখে ওয়েল্ডিং করা, দেখা যাবে না। এতে চোখের প্রচুর ক্ষতি সাধান হতে পারে। চোখ লাল হতে পারে ,চোখ ফুলে যেতে পারে।যেখানে ক্ষতিকর উপাদান চোখে ছিটিয়ে আসার সম্ভবনা আছে। সেখানে নিরাপত্তা চশমা ব্যবহার করা উচিত।

ধূমপান পরিহার
কথায় বলে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর |আর এটা চোখের জন্যেও ক্ষতিকর | ধূমপানের ফলে অপটিক নার্ভের ক্ষতি হয় এবং চোখে ছানি পরার প্রবনতা দেখা দেয়। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ধূমপান পরিহার করা উচিত।

সানগ্লাস ব্যবহার
সূ্র্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত। সানগ্লাস কে ফ্যাশানের অনুসঙ্গই না ভেবে চোখের যত্নে প্রয়োজনীয় ভাবা উচিত। সানগ্লাস ব্যবহার করার আগে ৯৯%থেকে১০০% ইউ ভি এ বা ইউ ভি বি রশ্মি প্রতিরোধ কিনা জানতে হবে। বড় আকৃতির সানগ্লাস ব্যবহার করলে চোখ বেশি সুরক্ষিত থাকে। এছাড়া বাহিরের ধূলাবালি থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস অনেক ভূমিকা রাখে। এই জন্যে চোখের স্বাস্থ্য টিপস জানুন,চোখকে ভালো রাখুন।

চোখের যত্নে কিছু করুনীয়
চোখ শুকনা লাগলে ঘন ঘন পলক ফেলুন।

একটানা কম্পিউটার টিভি মোবাইলের দিকে তাকিয়ে না থেকে মাঝে মাঝে চোখকে বিরত দিন।

কম্পিউটার টিভি মোবাইলের স্ক্রীন চোখের বেশি কাছে রাখা উচিত নয়।

চোখ বেশি ক্লান্ত হয়ে গেলে মাঝে মাঝে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।

নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিন।