• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জামায়াত-শিবির-হেফাজত এক হয়ে ভাস্কর্য ইস্যুতে মাঠে নেমেছে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২০  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে অবস্থান ধর্মের অপব্যাখা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ওলামা লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে নেতারা এ মন্তব্য করেন।

বক্তারা বলেন, দেশে কোনো জঙ্গিবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির জায়গা হবে না। লক্ষ্য করছি স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র ইসলামের নাম ব্যবহার করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় উসকানির অপচেষ্টা করছে। ভাস্কর্য একটি জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বহন করে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে তারা যে অবস্থান নিয়েছিল তা আবার পুনরায় তাদের অবস্থান স্পষ্ট করল।

ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, ৭১ সালে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যেমনিভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, ঠিক তেমনিভাবে এখনও এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিবে, ইনশাআল্লাহ।  জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলাম এক ও অভিন্ন হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ইস্যুতে মাঠে নেমেছে। এটি তাদের পূর্ব স্বভাব। তাদের পূর্ব পুরুষেরাও স্বাধীনতা চায়নি।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তারা পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গঠন করেছিল আলবদর, আলসামস, আলরাজাকার ও শান্তি বাহিনীসহ বিভিন্ন সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিশ্বব্যাপী চালিয়েছিল নানা অপপ্রচারও। জাতির পিতার নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে সব প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে লাল-সবুজের বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতা চালিয়ে ইসলাম ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কোনো অপশক্তি বাঙালি জাতিকে আর বিভ্রান্ত করতে পারবে না।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- ওলামা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুখপাত্র ক্বারী মাওলানা আসাদুজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েল, মুফতি আলিম বিজয় নগরী, মুফতি মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ, মাওলানা আবদুর রহিম, মুফতি ইলিয়াস হোসেন ও সুফী আবদুল করিম প্রমুখ।

বরগুনার আলো