• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২০  

দেশে বিটিসিএল পরিচালিত টিঅ্যান্ডটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ইন্টারনেটবিহীন ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম চালু হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের বই খাতা, কলম কিংবা চক-ডাস্টার দিয়ে প্রচলিত নিয়মের পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।

বুধবার (৮ জুলাই) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিটিসিএল পরিচালনাধীন আটটি টিঅ্যান্ডটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিকভাবে প্রি-স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এ শিক্ষা কার্যক্রম চালু হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে মোবাইল বা ট্যাবে বোর্ডের পাঠ্যসূচি ডিজিটাল অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তৈরি করা সফটওয়্যারে পাঠদান করা হবে। ফলে খেলার ছলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে সহজে এবং আগ্রহের সঙ্গে পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে পারবে।

বিটিসিএল, হুয়াওয়ে এবং বিজয় ডিজিটালের যৌথ উদ্যোগে এ উপলক্ষে আয়োজিত জুম ভার্চুয়াল সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য দীর্ঘ তিন যুগব্যাপী কাজ করছি। ১৯৯৯ সালে গাজীপুরে ১৩ শিক্ষার্থী নিয়ে এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের যাত্রা শুরু করি। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী সেটি উদ্বোধন করেছিলেন।

ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে মোস্তাফা জব্বার তার দীর্ঘ পথ চলার চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের সবচেয়ে বড় দুটি প্রতিবন্ধকতা হলো ডিভাইস এবং কনটেন্ট। গত ১১ বছরে বিজয় ডিজিটালের সিইও জেসমিন জুই কনটেন্ট বিষয়ক চ্যালেঞ্জটি তার ২০ দক্ষ সহযোদ্ধাকে নিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছেন। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের কনটেন্ট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের হাতে তিনি তুলে দিতে পেরেছেন। বিনা টাকায় করোনাকালে শিক্ষার্থীরা এ কনটেন্টটি এখন পাচ্ছেন। অনলাইন থেকে শিক্ষক ও অভিভাবকরা ডাউনলোড করে তাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

টিঅ্যান্ডটি স্কুলে বিনামূল্যে বিজয় সফটওয়্যারটি সরবরাহ করা হচ্ছে উল্লেখ করে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষা জীবনে প্রাথমিক স্তরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর আগামী দিনটা হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির দিন। এ পদ্ধতিতে শিশুদের কম্পিউটার শিক্ষার কাজটিও যেমন এগিয়ে যাচ্ছে পড়ার প্রতি তাদের আগ্রহও তেমনি বাড়ছে।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শুরু হয়েছে। বিপ্লবের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকা কঠিন হবে। প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি বিদ্যমান শিল্প যুগের উপযোগী মানব সম্পদ তৈরি করতে পারবে না। ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতিই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকার একমাত্র পথ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১১ বছরে ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশ নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার বনানীতে টিঅ্যান্ডটি বয়েজ হাইস্কুলে কার্যক্রমটি শুরু করা হয়। পর্যায়ক্রমে দুই বছরের মধ্যে টিঅ্যান্ডটির আরও সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৯৭০ শিক্ষার্থী ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় আসবে। বিটিসিএলের ব্রিজিং দ্য ডিজিটাল এডুকেশন ডিভাইড টু রিডিউস দ্যা গ্যাপ প্রকল্প এ কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে।

দেশের জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে উদ্ভাবিত সফটওয়্যার শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করবে বিজয় ডিজিটাল অ্যাপ। হুয়াওয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে ট্যাব সরবরাহ করবে। সরবরাহকৃত ট্যাবে বিজয় ডিজিটাল অ্যাপটি আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকবে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. নূর-উর-রহমান, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অব অফিস বিয়্যাট্রিস কালদুন, বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুই, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন, বনানীর টিঅ্যান্ডটি বয়েজ হাইস্কুলের অধ্যক্ষ হালিমা বেগম, শিশু শিক্ষার্থী লিমন খান এবং অভিভাবক লাকী বেগম বক্তব্য দেন।

বরগুনার আলো