• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জনের স্থান, র‌্যাগিং করার নয়- রাষ্ট্রপতি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০  

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জনের স্থান। র‌্যাগিং ও টাকা নষ্ট করার স্থান নয়। বাবা-মা অনেক কষ্ট করে টাকা পাঠায় তা মনে রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের কাজ শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নয়। পাশাপাশি তাদের জ্ঞানের মশাল জ্বালাতে হবে। শিক্ষার্থীদের মননে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে শিক্ষকদের।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশ মাদক ও ইয়াবায় সয়লাব হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন অবাধে মাদকসেবন চলে। মাদক প্রবেশের যতো রাস্তা আছে তার মধ্যে কুমিল্লা অন্যতম। এক সময় কুমিল্লা পড়ালেখায় পুরো দেশে এক নম্বর ছিলো। আমি কুমিল্লার সবাইকে বলতে চাই, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের বড় অবদান ছিলো। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন নতুন করে আবার সংগ্রাম করতে হবে। আর এবারের সংগ্রাম হবে মাদকের বিরুদ্ধে।

সোমবার বিকেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্রসমাজ যেন মাদকের দিকে পা না বাড়ায় সে-জন্য কাজ করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

আবদুল হামিদ আরও বলেন, শিক্ষার সাথে মানবিক মূল্যবোধ পৃথিবীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার উদ্যোগ বড় অবদান রাখবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, এবারের সংগ্রাম সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম।

বক্তব্যের শুরুতে কুমিল্লার ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে কুমিল্লার বীরত্ব ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। কুমিল্লার শালবন বিহার, ময়মনামতি যুদ্ধসমাধি সবকিছু ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে আছে। কুমিল্লার বিখ্যাত খাদি কাপড় ও রসমলাইয়ের রয়েছে অনেক সুনাম।

সমাবর্তনে আগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা দেশের উচ্চতর মানবসম্পদ। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তোমাদের ওপর। তোমরাই সবসময় ন্যায়কে সমুন্নত রাখবে। কখনো ব্যক্তিগত সম্মানবোধ ও নৈতিকতাকে নষ্ট করবে না। এ সমাবর্তন শিক্ষাজীবন শেষ করছে না বরং শিক্ষার সমুদ্রে প্রবেশ করাচ্ছে। শুধু নিজের কথাই ভাববে না। মানুষ ও সমাজের কথা ভাবতে হবে।

সমাবর্তন বক্তা অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা এ দেশ পেয়েছি। আর তাই সবাইকে সবসময় তাকে মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক টাকার বাজেট দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এখানে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই টাকার সদ্ব্যবহার করতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েটদের দেশ ও সমাজের জন্য মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলেছে। সমাবর্তনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সমাবর্তনে ২ হাজার ৮৮৮ জন গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন। যাদের মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারী ১ হাজার ২২২ জন এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ১ হাজার ৬৬৫ জনকে ডিগ্রি প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়া ১৪ শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

বরগুনার আলো