• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মুশফিক যেন বিপিএলের রবার্ট ব্রুস!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২০  

এক হাতে ১৪ সেলাই নিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার খেলতে নেমে পড়ার ঘটনাই সেদিন প্রচারের সব আলো কেড়ে নিয়েছিল। যদিও এলিমিনেটর ম্যাচ হেরে তাঁর দল ঢাকা প্লাটুনের বঙ্গবন্ধু বিপিএল থেকে ছিটকে পড়ার দিনই আরেকজনের নিবেদনও কম দৃষ্টি আকর্ষক ছিল না।

১৬ বলে ২১ রান করার পর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়েছিল খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে। কিন্তু গত পরশুর প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়ালসের রান তাড়ার সময় দেখা যায় ঠিকই উইকেটকিপিং করতে নেমে গেছেন বিপিএল ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যান। জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আরো আগেই। তবু ম্যাচের শেষ বলে প্রতিপক্ষ অল আউট হতেই মুশফিকের চেনা উদ্‌যাপনেও ছিল অন্য তাৎপর্য।

সবার আগে খুলনা টাইগার্সের ফাইনালে উঠে যাওয়া যেন তাঁকেও বানিয়ে দিল ‘বিপিএলের রবার্ট ব্রুস’! ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি না থাকলেও গল্প চালু আছে যে স্কটিশ বীর রবার্ট সাতবারের চেষ্টায় সফল হয়েছিলেন। বিপিএল ফাইনালের ঠিকানা খুঁজে পেতে মুশফিকেরও তো লাগল সাত আসরই। আগের ছয় আসরের কোনো কোনোটি তাঁর ব্যাটিং সাফল্যও দেখেছে। তবে কোনোবারই দলীয় সাফল্যের গৌরবে ভাসা হয়নি।

অধিনায়ক হিসেবে কখনো কখনো বরং অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতাও হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে গোলমালে নিজে যেমন নেতৃত্ব ছেড়েছেন, তেমনি অধিনায়কত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও আছে। এবার অবশ্য মাঠের বাইরেও দলটিকে দারুণ সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী টেস্ট অধিনায়ক। দল চালাতে গিয়ে তাঁর কোনো অসন্তোষের খবরও নেই। মনের আনন্দে দল চালানোর খবর দিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদও, ‘এবার শুরু থেকেই ওকে নিজের মতো করে দল চালানোর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। যেখানে আর কেউ কোনো হস্তক্ষেপও করেনি।’

নির্ভার মুশফিক তাই নিজেও পারফরম করেছেন, অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে পথ দেখিয়েছেন দলকেও। দুয়ে মিলে অনেক সাধনার পর প্রথমবারের মতো ফাইনালও খেলতে চলেছেন। যদিও ট্রফি উঁচিয়ে ধরাটা বাকি এখনো। অধিনায়ক হিসেবে যা এরই মধ্যে চারবার তুলে ধরেছেন মাশরাফি। একবার করে সাকিব আল হাসান এবং এমনকি ইমরুল কায়েসও। গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক তো ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানই। সেবারই প্রথমবার ফাইনাল খেলে শিরোপার স্বাদ নেওয়ার পথে বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবালও উজ্জ্বল হয়েছিলেন পারফরম্যান্সের আলোয়। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে করেছিলেন বিপিএল ফাইনালে সেঞ্চুরি।

এবার কি তবে শিরোপা দিয়ে আগের ছয়বারের যাতনা ভোলার পালা মুশফিকের? দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে একটি ট্রফি উপহার দেওয়ার দায় তো আছে বিপিএলেরও। সেই ঋণ কি এবার শোধ করবে আসরটি? জানার জন্য ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। কে জানে যে লিগ পর্বে দুইবার সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও তা না পাওয়ার জ্বালা ফাইনালেই জুড়িয়ে নেবেন না চলতি আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের মালিক! ১৩ ম্যাচে ৭৮.৩৩ গড়ে করেছেন ৪৭০ রান।

বিপিএলে ব্যাট হাতে খুব খারাপ সময়ও অবশ্য গেছে মুশফিকের। সবচেয়ে খারাপ  গেছে সিলেট সুপার স্টারসের হয়ে তৃতীয় আসরে। ১০ ম্যাচে করেছিলেন মোটে ১৫৭ রান, ছয় দলের টুর্নামেন্টে দল হয়েছিল পঞ্চম। ভালো যায়নি আট দলের মধ্যে ষষ্ঠ হওয়া রাজশাহী কিংসের হয়ে পঞ্চম আসরও। ১২ ম্যাচে মাত্র ১৮৫ রান। ২০১২-তে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে শেষ চারে গেলেও ১১ ম্যাচে ২৩৪ রান তাঁর নামের সঙ্গে বেমানানই ছিল। চতুর্থ আসরে ১২ ম্যাচে ৩৪১ রান করলেও তাঁর দল বরিশাল বুলস আট দলের মধ্যে হয়েছিল সপ্তম। গতবার এলিমিনেটরে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে চট্টগ্রাম ভাইকিংস বিদায় নিলেও ১৩ ম্যাচে ৪২৬ রান করা মুশফিক ছিলেন ফর্মের তুঙ্গেই।

সেটি ছিলেন সিলেট রয়ালসের হয়ে ২০১৩-র দ্বিতীয় বিপিএলেও। দল শেষ চার থেকে বিদায় নিলেও ১৩ ম্যাচে মুশফিক করেছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৪৪০ রান। তবে সেবারের মতো এবার ফাইনালে উঠতে না পারার বঞ্চনার গল্প নেই। বরং আছে রবার্ট ব্রুসের মতো সাধনায় সাফল্যের গল্পই!

বরগুনার আলো