• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রাত জাগলেই বাড়বে হাঁপানি ও অ্যাজমার সমস্যা!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২০  

বর্তমানে হাঁপানি ও অ্যাজমার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। ছোটরাও এর থেকে মুক্ত নয়। এর কারণ কি জানেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ হতে পারে রাত জাগার অভ্যাস।

বিশেষ করে কিশোর বয়সে রাত জাগার অভ্যাস থেকে হাঁপানি ও অ্যালার্জিতে ভোগার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। আর এই তথ্য উঠে এসেছে কানাডা’র ইউনিভার্সিটি অব অ্যালবার্টার এক গবেষণায়।  

এই গবেষণা মতে, রাত জাগার বদভ্যাস বাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জি ও সংক্রমণের ঝুঁকি এবং ডেকে আনে হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা। গবেষণার নেতৃত্ব দেন পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের ডা. শুভব্রত মৈত্র। 

১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী মোট ১৬৮৪ জন কিশোর-কিশোরী এই গবেষণায় অংশ নেয়। সেখানে জানতে চাওয়া হয় তাদের ঘুমের অভ্যাস, দিনের কোন সময় তাদের সবচেয়ে বেশি ক্লান্ত লাগে, সচরাচর কোন সময়ে তারা ঘুম থেকে ওঠে ইত্যাদি সম্পর্কে। 

পরবর্তীতে সময়ে তাদের হাঁচি-কাশি, শ্বাস নিতে কষ্ট, অ্যালার্জির সমস্যা, ধূমপানের বদভ্যাস ইত্যাদি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, যারা রাতে সময়মত ঘুমায় তাদের তুলনায় যারা দেরি করে ঘুমায় তাদের হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তিনগুণ বেশি।

রাতজাগা আর শ্বাসতন্ত্রের জটিলতার মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক না থাকলেও গবেষকদের দাবি, ঘুমের অনিয়ম হওয়ায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে অ্যালার্জি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার সম্পর্ক আছে।

ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন হলো ‘মেলাটনিন’। যখনই কেউ ঘুমের স্বাভাবিক নিয়ম ভাঙে তখন এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর কারণে শরীরের ওপর বিভিন্ন প্রভাব পড়ে। যেমন- ক্লান্তি, বদমেজাজ, অ্যালার্জি, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের সমস্যার আরেকটি কারণ হলো ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’। এই রোগে ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়ার অবস্থা হয়। সব বয়সের হাঁপানি রোগীর সঙ্গেই এমনটা হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে যা করতে পারেন-

> সাত থেকে আট ঘণ্টার নির্ভেজাল ঘুম সব বয়সের মানুষকেই নিশ্চিত করতেই হবে। 

> শোয়ার ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। 

> অতিরিক্ত বাঁকা হয়ে ঘুমানো উচিত না। খেয়াল রাখতে হবে ঘুমানোর ভঙ্গির কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে যেন বাধা সৃষ্টি না হয়।

> ঘরের বাতাস অস্বাস্থ্যকর হলে এয়ার পিউরিফায়ার বা হিউমিডিফায়ার ব্যবহারের কথা ভাবতে পারেন।

> ঘুমের স্বাস্থ্যকর নিয়ম গড়তে হবে এবং তা শক্তভাবে মেনে চলতে হবে।

> ডিজিটাল স্ক্রিনটাইম কমাতে হবে। ঘুমানোর আগে মোবাইল চালানো বন্ধ করতে হবে।

> ঘুমে সহায়ক প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

বরগুনার আলো