• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

শেখার আছে ‘উইপোকা’ থেকেও!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ছোট্ট একটি পতঙ্গ উইপোকা। এদের বৈশিষ্ট্যের কারণে এদের সামাজিক পতঙ্গ বলা হয়। উই পরিবারের সবাই বাচ্চাদের যত্ন নেয়। এদের মধ্যে শুঁয়োপোকা খোলস ছেড়ে পরিণত হয় কর্মী উইতে। কিছু কিছু কর্মী উই পুনরায় খোলস ছাড়ে। তখন তারা সৈনিক উইতে পরিণত হয়। কেউ যদি তৃতীয়বারের মতো খোলাস ছাড়ে তবে পরিণত হয় প্রজননক্ষম উইতে। তারা ডিম পাড়ে আর তা থেকে বাচ্চা জন্মায়। 

শত সহস্র এমনকি লক্ষ কোটি হতে পারে উইপোকার সংখ্যা। তাদের মধ্যে শ্রম ভাগ করে দেওয়া হয়। সবাই মিলে পরিশ্রম করে বাসা বোনে, সন্তান লালন পালন করে। একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে উইপোকারা বিশেষ সঙ্কেত ব্যবহার করে। তবে তারা কীভাবে এই সঙ্কেত পাঠায় তা আজও জানা যায়নি। 

গবেষকগণ, উইপোকাকে বিরূপ অবস্থাতে ফেলে পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে, অন্যান্য পোকা অর্থাৎ পিপড়া বা মৌমাছির মতো উইপোকা এলোমেলো হয়ে ছুটাছুটি করে না। বরং খুব শান্ত ও সুশৃঙ্খলভাবে ধীরে ধীরে পলায়ন করে তারা। 

এখানেই শেষ নয়। উইপোকা বিপদে পড়লে বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে কেউ দৌড়াদৌড়ি করে না, হুড়োহুড়ি করে একে অন্যের গায়ের ওপর ওঠে না। তারা সুশৃঙ্খল হয়ে স্থান ত্যাগ করে। এটিই তাদের সামাজিক ক্রমধারা। সারির শুরুতে থাকে দলনেতা আর তার পেছনে কর্মী উইরা। পথ চলতে গিয়ে কোনো কর্মী যদি দলছুট হয়ে যায় তবে সে আবার ফিরে না আসা অব্দি পুরো দল শান্তভাবে অপেক্ষা করে। 

উইপোকার ঢিবি নিশ্চয়ই দেখেছেন। কখনো কখনো হয়তো দেখে অবাক হয়েছেন। অতটুকু পোকা এত বড় শিল্পকর্ম করল কী করে! এর কারণ হলো, উইপোকা অত্যন্ত ক্ষুদে প্রাণী হয়েও যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছে তা সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষকেও হার মানায়। 

একতা থাকলেই সবকিছু সম্ভব। দলবদ্ধ হয়ে থাকলে কঠিন পরিস্থিতিও সামলানো যায় সহজে। এই উইপোকাদের থেকেই অনেককিছু শেখার রয়েছে আমাদের। 

বরগুনার আলো